প্রথম স্বীকৃতি - ১৯১৯ খ্রিঃ
EIIN No - 114289
ডাকঘরঃ কালোহা
উপজেলাঃ কালিহাতী
জেলাঃ টাঙ্গাইল।
মোবাইল নম্বরঃ ০১৭৩৩১৬২৫৬০।
বৃটিশ শাসিত ভারতে শিক্ষার অভাবে অত্র এলাকার লোক সর্বদিকেই পিছিয়ে ছিল। অজ্ঞতার অন্ধকারে নিমজ্জিত এলাকাবাসীদের আলোর পথ দেখানোর উদ্দেশ্যে একদল মনিষি ও চিন্তাবিদদের আপ্রাণ চেষ্টায় ৫ জানুয়ারী ১৯১৭ খ্রিঃ তারিখে গোপালদীঘি কে, পি, ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় যা ১৯১৯ সালে মেট্রিক পরীক্ষার প্রথমবারের মত অংশগ্রহণ করে। জন কল্যাণের জন্য আত্ম নিবেদিত ব্যক্তিদের মধ্যে স্বর্গীয় যাদব বাবু (পৌজান গ্রামের) ও স্বর্গীয় মাধব বাবু (রোয়াইল গ্রামের)- এ দু'মনিষি ও বিদ্যোৎসাহীর আপ্রাণ প্রচেষ্টায় এ শিক্ষালয়টি গড়ে উঠে। এ জ্ঞান মন্দিরটি স্বর্গীয় যাদব বাবু ও মাধব বাবুর অমর কৃতি বহন করে। এ ছাড়া বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার জন্য যারা সহযোগিতা করেছিলেন তাদের নাম স্মরণীয় ও বরণীয় হয়ে থাকবে। এদের মাধ্যে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিরা হলেন -
১। স্বর্গীয় বাবু জামিনি খাসনবিশ (শিহরাইল)
২। স্বর্গীয় বাবু তারনী তরফদার (গোপালপুর)
৩। স্বর্গীয় বাবু প্রমোধ ধর (সিংহটিয়া)
৪। স্বর্গীয় বাবু দূর্গানাথ ভৌমিক (বানকিনা)
৫। স্বর্তীয় বাবু সারদিয়া কিশৌর বাগচী (কালোহা)
প্রথমতঃ বিদ্যালয়টি শিহরাইল মৌজার ৬৫ প্লটে, ৪ নং খতিয়ানে স্থাপন করে উক্ত জমির মালিক স্বর্গীয় জোগেস চন্দ্র গুহ ও স্বর্গীয় জতিশ চন্দ্র গুহ, পিতা স্বর্গীয় কৈলাশ চন্দ্র গুহ, গ্রাম - শিহরাইল। উক্ত মালিকদ্বয় তাদেঁর সম্পত্তি দেখাশুনা করার জন্য গোপালকে কেয়ার টেকার নিযুক্ত করেন। সংশ্লিষ্ট ভূমি দীর্ঘদিন তার তত্ত্বাবধানে থাকায় এ ভূমি গোপালের সম্পত্তি বলে লোক মুখে পরিচিতি লাভ করে। এখানে উল্লেখ্য যে কালোহা সানডাইল বাড়ী ও পৌজান উভয় গ্রামে এক একটি করে মাইনর স্কুল ছিল। যার অবস্থা খুবই সূচনীয় ছিল। এলাকাবাসীর সার্বিক সহযোগিতা ও সমাঝোতার মাধ্যমে উক্ত মাইনর বিদ্যালয় দুটিকে একিভূত করে শিহরাইল গ্রামে ৬৫ নং প্লটে খতিয়ান ৪ এ স্থানান্তর করা হয়।
গোপাল কেয়ার টেকারের গীঘির পাড়ে স্কুলটি স্থাপন করার জন্য ইহার নাম গোপালদীঘি রাখা হয়; Kaloha গ্রামের প্রথম অক্ষর K এবং Powjan গ্রামের প্রথম অক্ষর P লওয়া হয়। কালোহা, পৌজানসহ এলাকাবাসীর সম্মিলিত প্রচেষ্ঠায় গড়ে উঠা এ প্রতিষ্ঠঅনের নামে Union যোগ করা হয় ফলে প্রতিষ্ঠানটির পূর্ণ নাম হয় - Gopal dighi K. P. Union high School.
কালের চক্রকে কেউ রোধ করতে পারে না এবং প্রকৃতির উপরও কারও নিয়ন্ত্র নেই। বিরূপ প্রকৃতি ক্ষেপে গিয়ে পরপর তিনটি প্রচন্ড কালবৈশাখী সর্বনাশা ঝড়ে স্কুলের কাঁচা টিনের গৃহ উড়িয়ে বর্তমান স্কুলের একই জায়গায় পেলে দেয়। স্কুলগৃহ পরপর তিনবার একই জায়গায় ফেলার কারণে জন সাধারণ ধারণা করেছিরযে, একটা অলৌকিক দানব শক্তি এ ধ্বংস সাধন করেছে। তাই স্কুলটি ৬৫নঙ প্লটে নির্মান না করে বর্তমান স্থানে স্থানান্তরিত করা হয়। যার ভূমি দাতা মৃত আহাদুল্লাহ হাজী (শিহরাইল)।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস